টাকা বাড়ানোর সহজ উপায়

টাকা বাড়ানোর সহজ উপায়

মাসে ভালোই আয় করছেন। খরচের পাশাপাশি জমাও করছেন। কিন্তু টাকা জমিয়ে খরচের সঙ্গে সঙ্গে টাকাটা বাড়ানোর দিকে নজর দিতে হবে। সঠিক ভাবে প্ল্যানিং করে এগোলে বছরের শেষে ভরে উঠবেই আপনার ব্যাঙ্ক-ব্যালান্স। কিন্তু, বিনিয়োগ করবেন কোন খাতে আর এড়িয়ে চলবেন কোন দিক, তা ঠিক করতেই কপালে ভাঁজ পড়ে অনেকের। নুতন হোক বা পুরনো বিনিয়োগকারী— বেশ কয়েকটি সহজ নিয়ম মেনে চললে আগামী দিনে এর সুবিধা মিলবেই।

১। বিভিন্ন খাতে বিনিয়োগ: কখনই কোনও একটি খাতে ১০ শতাংশের বেশি বিনিয়োগ করবেন না। ঝুঁকি কমাতে শেয়ার, মিউচুয়াল ফান্ড, ডেট ফান্ড, এসআইপি বা ফিক্সড ডিপোজিটে-সহ বিভিন্ন খাতে বিনিযোগ করুন।

বুঝে শুনে বিনিয়োগ করবেন: বিনিয়োগের আগে টার্মস অ্যান্ড কন্ডিশন ভাল করে বুঝে নিন। অনেকেই না বুঝে একসঙ্গে অনেক টাকা বিনিয়োগ করে বসেন। পাশাপাশি, ইনভেস্টমেন্ট পেপার খুঁটিয়েও পড়েন না। মন দিয়ে তা পড়ে তবে বিনিয়োগ করা উচিত।

৩। দীর্ঘ মেয়াদি বিনিয়োগ: স্বল্প সময়ের জন্য নয়, বিনিয়োগ করুন দীর্ঘকালীন মেয়াদে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনার বিনিয়োগে সুদ বাড়বেই। এতে আখেরে লাভবান হবেন আপনিই। শেয়ার বাজার থেকে চটজলদি মুনাফার লোভে না পড়ে দীর্ঘকালীন মেয়াদে গেলে তার ফল পাবেনই।

৪। নিয়মিত বিনিয়োগ: মাঝেমধ্যে নয়, নিয়মিত ভাবে বিনিয়োগ করুন। এতে বাজারে ওঠাপড়ার আঁচ থেকে বাঁচতে পারবেন। শৃঙ্খলাবদ্ধ বিনিয়োগ হলে তার ফল মিলবেই। পাশাপাশি, নিজের পোর্টফোলিও নজরে রাখুন। বাজারের ওঠাপড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিনিয়োগের ক্ষেত্র বদলান।

৫। বাজারের খবরাখবর রাখুন: নিজেকে সব সময় আপডেটেড রাখুন। খবরের কাগজ, বা ইন্টারনেটের মাধ্যমে ইনভেস্টমেন্টের খুঁটিনাটি খবর পড়ুন। এতে বিনিয়োগের নানা দিক সম্পর্কে ওয়াকিবহাল হবেন। ফলে এ সংক্রান্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে সব দিক জেনেশুনে এগোতে পারবেন।

৬। কেবলমাত্র কর বাঁচাতে বিনিয়োগ করবেন না: অনেকেই কেবলমাত্র কর বাঁচাতে বিনিয়োগ করেন। এর ফলে তারা অন্যান্য খাতে বিনিয়োগের সুযোগ হারান। সম্ভাব্য সব দিক দেখে বিনিয়োগ করুন বিভিন্ন ক্ষেত্রে। মনে রাখবেন, কর বাঁচানো ছাড়াও আপনার পোর্টফোলিও শক্তিশালী করাটাও জরুরি।

৭। মুনাফার অংশ বিনিয়োগ করুন: এ যেন মাছের তেলে মাছ ভাজা। নিজের গাঁটের কড়ি খরচ না করে পূর্ব-বিনিয়োগের মুনাফার অংশ ফের কাজে লাগান। নিজের রিটায়ারমেন্টের টাকা বা জমানো অর্থ কখনই বাজারে খাটাবেন না।

৮। প্রয়োজনে পেশাদারের সাহায্য নিন: নিজে না বুঝলে বিনিয়োগ করবেন না। প্রয়োজনে পেশাদারের সাহায্য নিলে তার সুবিধা পাবেনই। ইনভেস্টমেন্টের ক্ষেত্রে পরামর্শদাতাদের ভূমিকা তুলনাহীন। এ রকম অনেক সংস্থা রয়েছে যারা আপনাকে সঠিক পরামর্শ দেবে। সামান্য পারিশ্রমিকের বিনিময়ে এদের সাহায্য নিন।